Spread the love

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় এক সন্তানের জননী সাদিয়া আক্তার হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার দাবিতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বাকশীমূল ইউনিয়নের সালদা–কুমিল্লা সড়কের ছয়গ্রাম বাজার এলাকায় কয়েক শতাধিক মানুষ ব্যানার–ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষও এ কর্মসূচিতে যোগ দেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন—নিহতের দাদা মো. সেলিম, রব্বান, জেঠা নাজমুল হাসান, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বুড়িচং উপজেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. সোহেল রানা, বুড়িচং উপজেলা বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হান্নান, শহীদ, খালেক, আব্দুল হক, নুরুল ইসলামসহ অনেকে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবু হাসনাত, ধনু মিয়া, মোহন মিয়া, জাকির, কাশেম, খোরশেদ আলম, আবুল হোসেন, আনোয়ার, দেলোয়ার, মানিক, হান্নান হানু, মামিয়া, ইকরাম, রাফি, নাঈম, সিয়াম, নুরুল ইসলাম–২, মাহিন, ফাহাদ, আরাফাত, রমজান, রাজীব, ডা. মোস্তফা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি। বক্তারা অভিযোগ করেন, সাদিয়া আক্তারকে নির্মমভাবে হত্যার পরও মামলার অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। তারা দ্রুত প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, সাদিয়ার ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আগামী তিন দিনের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার না করা হলে কুমিল্লা–বাগড়া সড়ক অবরোধ করে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে। শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন শেষ হলেও এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) উত্তর কোদালিয়া মুহুরী বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত সাদিয়া আক্তার (২২) সৌদি প্রবাসী হাবিবুর রহমানের স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, যৌতুক ও কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দেবর রাব্বি প্রকাশ্যে বাবার বাড়ি থেকে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে শশুর–শাশুড়ি ও ননদদের সঙ্গে মিলিত হয়ে পিটিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন রাতে সাদিয়ার মা বাদী হয়ে দেবর রাব্বি হোসেন, স্বামী হাবিবুর রহমান, শ্বশুর মোস্তফা, শাশুড়ি রহিমা খাতুন, ননদ আমেনা আক্তার, সোনালী আক্তারসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে বুড়িচং থানায় মামলা করেন।নিহতের পরিবারের দাবি—সাদিয়াকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা দ্রুত সব আসামির গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *