কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার এরশাদ ডিগ্রি কলেজের মেধাবী ছাত্র ও বাহেরচর গ্রামের মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে তুহিন হত্যার ঘটনায় জড়িত ইতালি প্রবাসী সাইফুল ইসলাম বাবুসহ অন্যান্য আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে। (২৮ অক্টোবর) মঙ্গলবার দুপুর ও বিকেলে পৃথক স্থানে বুড়িচং উপজেলা সদরে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ তানভীর হোসেনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি গ্রহণকালে ইউএনও তানভীর হোসেন বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য আমরা সার্বক্ষণিকভাবে বুড়িচং থানার কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।” জানা যায়, একই ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের ইতালি প্রবাসী ও প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা মো. সাইফুল ইসলাম বাবুর মেয়ে নিহা (ছদ্মনাম) ও উজ্জল নামে এক যুবক পালিয়ে বিয়ে করেন। পরে পুলিশ দিয়ে তাদের ধরে আনা হয়। কিছুদিন পর উজ্জলের বন্ধু তুহিনের সঙ্গে মেয়েটির পুনরায় সম্পর্কের সন্দেহে গত ২০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের কামাল মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে তুহিনকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নেয় মেয়ের বাবা সাইফুল ইসলাম বাবু ও তার সহযোগীরা। অভিযুক্তরা তুহিনকে নির্মমভাবে মারধর করে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অবশেষে ঢাকার আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে সাতদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর সোমবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে তুহিনের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তুহিনের লাশ নিজ বাড়িতে আনা হয়েছে । এদিকে, গত ২০ অক্টোবর তুহিনের মা ফেরদৌসী আক্তার বুড়িচং থানায় ইতালি প্রবাসী সাইফুল ইসলাম বাবুসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেন। অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন—নাফিজ উদ্দিন, জহির মিয়া ও আবদুল আলিম। স্থানীয়দের দাবি,পুলিশের গাফিলতি থাকার কারণে আসামি এখানো গ্রেপ্তার হয়নি।তারা দ্রুত সকল আসামিকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান।
