{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["default"],"source_ids":{},"source_ids_track":{},"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":2,"square_fit":1,"addons":5},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় ট্রেন দূর্ঘটনায় মিম নামে এক স্কুল ছাত্রী নিহত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় সদর রসূলপুর স্টেশন মাজারগেইট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ওই রেললাইনে অবস্থান করে অবরোধ করছে স্কুলের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। এ অবরোধের কারণে রসুলপুর স্টেশনে আটকে আছে ঢাকাগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেন। নিহত মিম (১৫) রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্কুলে যাওয়ার সময় মাজার গেট দিয়ে রেললাইন পার হচ্ছিল শিক্ষার্থী মিম। সে সময় ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রামগামী পর্যটন এক্সপ্রেস ক্রস করছিল। ওই শিক্ষার্থী একপাশের ট্রেন দেখলেও অপরপাশের ট্রেনটি না দেখায় কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং তার দেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।রেল লাইনে পড়ে আছে বিচ্ছিন্ন দেহ, স্কুল পোশাক,বই খাতা ও কলম।নিহত মিম আক্তারে সদর রাসুল গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকে অবরোধ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।ঘটনাস্থলে দেখতে যায় সদর ইউএনও,ওসি সহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা।নিহতের চাচাতো ভাই শিল্পী বাউল রবিউল ও স্থানীয়দের দাবি, রসুলপুর রেলস্টেশনের পাশে লেভেল ক্রসিংটিতে নিরাপত্তা গেট কিংবা কোনো বেরিয়ার দেওয়া নেই। যে কারণে প্রতিদিনই কোনো না কোনো যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হয়। এছাড়া রেল লাইনের এক পাশে স্কুল থাকায় প্রতিনিয়ত লেভেল ক্রসিং দিয়ে শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। নিরাপত্তা বেস্টন না থাকাই শিক্ষার্থীরাও ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন দিয়ে পারাপার হয়। কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তফা কামাল বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তবে শিক্ষার্থীরা কেন রেললাইন অবরোধ করেছে তা জানি না। তাদের সঙ্গে কথা বলছি আমরা।’তিনি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে বলা যাবে। বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা মহানগর প্রভাতী ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখে। পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। ট্রেনে কাটা পড়েই মীমের মৃত্যু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *