কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের চৌব্বাস গ্রামের আদম ব্যবসায়ী খাইরুল আমিনকে প্রতারণার অভিযোগে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি একাধিক মামলার আসামি বলে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ বিশেষ অভিযানে ঢাকার একটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর একই গ্রামের মৃত আবদুল লতিফের ছেলে মোঃ ছফিউল্লাহ বাদী হয়ে খাইরুল আমিনসহ চারজনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা (নম্বর-৪৫/২৫) দায়ের করেন। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন— খাইরুলের ভাই নেছার ও নূরুল আমিন এবং নূরুলের ছেলে নাজমুল। এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা বাদীকে প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর তার কাছ থেকে বিদেশে পাঠানোর নামে ৩২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। বাদীর চার আত্মীয়কে দুবাই ও সৌদি আরবে পাঠানোর আশ্বাস দিয়ে তারা নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত প্রতিশ্রুতিও দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে ভিসা ও চাকরির ব্যবস্থা না করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও প্রতারণার অর্থ ফেরত দেয়নি আসামিরা। অভিযোগ রয়েছে, ২০২৫ সালের ৩০ আগস্ট আসামিরা বাদীকে হুমকি-ধমকি দেয় এবং প্রাণনাশের ভয় দেখায়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি খাইরুল আমিনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। ওসি মাহিনুল ইসলাম বলেন, “মামলার প্রধান আসামি খাইরুল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে।” স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খাইরুল আমিন অতীতে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় ছিলেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে ভোলা জেলার একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও আসামি করা হয়েছিল, যেখানে তিনি ১৫৭ নম্বর আসামি ছিলেন। বর্তমানে এলাকায় তিনি বিএনপির সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
