অনলইন ও অফলাইনে নানা আলোচনা ও বিতর্ক এবং প্রার্থীদের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ এবং তুমুল ভোটযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর একেবারেই ভিন্ন বাস্তবতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ নির্বাচন। কারণ স্বাধীনতার পর এই প্রথম ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ নেই এবং কিন্তু ইসলামী ছাত্রশিবিরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে বাগছাসের মতো শক্তিশালী নতুন ছাত্র সংগঠনও অংশ নিয়ে প্রতিযোগিতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। দীর্ঘদিন পর ভয়মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন করতে পারছে ডাকসুর ইতিহাসে বড় প্রভাবক সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের বাইরে স্বতন্ত্র প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আলোচনায় আসাও এবারের ডাকসু নির্বাচনের অন্যতম আলোচনার বিষয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে থাকায় সারাদেশেই ডাকসু নির্বাচন বড় একটি ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। এর প্রবল ঢেউ পড়েছে জাতীয় রাজনীতিতেও। অনেকে এই নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচনের ‘টেস্ট কেস’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। সব মিলিয়ে অভূতপূর্ব এক পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের ডাকসু নির্বাচন। আজ সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে এবং বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, নির্বাচনে প্রীতিকর কিংবা অপ্রীতিকর যাই ঘটুক, তা আগামীর রাজনীতির বার্তা দেবে। এ দিক লক্ষ্য রেখে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারও দৃষ্টি রাখছে নির্বাচনের দিকে। ডাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে অভিযোগ-পাল্টাঅভিযোগ অব্যাহত ছিল। অভিযোগ ছিল শেষ দিন অবধি। রিপোর্ট দিয়ে ফেসবুক আইডি নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল ও স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থীসহ অনেকে। বেশির ভাগ অভিযোগ ছিল বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি। একটি বিশেষ দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব আছে বলেও অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একজনের প্রার্থিতা বাতিল, কয়েকজন প্রার্থীর অংশগ্রহণ নিয়ে দুটি রিট; অতঃপর এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। শেষ পর্যন্ত ৯টি প্যানেল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এর বাইরে কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও আলোচনায় আছেন। এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল দিনব্যাপী বিশ^বিদ্যালয় এলাকায় মানুষের চলাফেরা সীমিত ছিল। রাত ৮টা থেকে জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেবল শিক্ষার্থীরা তাদের পরিচয়পত্র দিয়ে তাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, ভোটারদের সুবিধার্থে ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা ৪৫ মিনিট থেকে বিকাল ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত শাটল বাস সার্ভিস চলমান থাকবে। আরও জানানো হয়, ভোটগ্রহণের আগে সাংবাদিকদের ভোট গণনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে সরাসরি দেখানো হবে। এ ছাড়া সামনে ফাঁকা ব্যালট বাক্স সিলগালা করা হবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়, যা ১৫ বছরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের আধিপত্যের ইতি টানে। এর মধ্যে সরকারিভাবেও নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। এর ফলে বাংলাদেশ দ্বিতীয় সংসদখ্যাত ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য হয় ছাত্রলীগ। ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের ১১ মার্চ, যেখানে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র-অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা (পরবর্তী সময়ে ছাত্র অধিকার পরিষদ নামে পরিচিত) নুরুল হক নূর সহসভাপতি (ভিপি), ছাত্রলীগের গোলাম রাব্বানী সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও ছাত্রলীগের সাদ্দাম হোসেন সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সবচেয়ে বেশি প্রার্থী : এবারের ৩৮তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদ বা ডাকসু নির্বাচন হবে সব থেকে ভিন্নধর্মী। সব থেকে বেশি প্রার্থীর অংশগ্রহণ এবারের নির্বাচনে। ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে মোট প্রার্থী ৪৭০ জন, যার মধ্যে পুরুষ প্রার্থী ৪০৮ জন এবং নারী প্রার্থী ৬২ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৪ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২৫ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমন রুম রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র ও পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে ১৫ জন এবং সদস্যপদে ২১৭ জন প্রার্থী রয়েছেন। ১৮টি হলে ১৩টি পদে মোট ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর মধ্যে ১৩টি ছাত্র হলের প্রার্থীসংখ্যা ৮৫০ এবং পাঁচ ছাত্রী হলের প্রার্থীসংখ্যা ১৮৫। এর আগে ১ হাজার ১০৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল এবং এর মধ্যে ৭৩ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। বিভিন্ন হলে প্রার্থীর সংখ্যা : ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ৫৯ জন, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ৩১ জন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৬২ জন, জগন্নাথ হলে ৫৫ জন, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৫৮ জন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ৭৫ জন, রোকেয়া হলে ৪৫ জন, সূর্যসেন হলে ৭৫ জন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৬০ জন, শামসুন নাহার হলে ৩৫ জন, কবি জসীম উদ্্দীন হলে ৬৮ জন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ৭৩ জন, শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৫৯ জন, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ৩৬ জন, অমর একুশে হলে ৭৬ জন, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৩৮ জন, বিজয় একাত্তর হলে ৬৮ জন এবং স্যার এএফ রহমান হলে ৬২ জন। প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার আগে ১৩টি হলে বিভিন্ন পদে অনেক প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। ডাকসুর ৯টি প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা : এবারের ডাকসু নির্বাচনে আবিদ-হামিম-মায়েদের নেতৃত্বে ছাত্রদল প্যানেল, সাদিক-ফরহাদের নেতৃত্বাধীন শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট, ইমি-বসুর নেতৃত্বে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সমর্থিত প্রতিরোধ পর্ষদ, তিন বাম সংগঠনের (ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও জাসদ ছাত্রলীগ) ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেল, কাদের-বাকেরের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ, উমামার নেতৃত্বে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য, খালিদ-মাহিনের নেতৃত্বে সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ, ছাত্র অধিকার পরিষদ (ডাকসু ফর চেঞ্জ)। এর বাইরেও আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। হলকেন্দ্রিক ভোটসংখ্যা : এবারের ডাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে ছাত্রী : ১৮ হাজার ৯৫৯ জন (যা মোট ভোটারের ৪৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ) ও ছাত্র : ২০ হাজার ৯১৫ (যা মোট ভোটারের ৫২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। হলগুলোর মধ্যে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল- ৬৬৫ জন, কবি জসীম উদ্্দীন হল- ১ হাজার ২৯৮ জন, অমর একুশে হল- ১ হাজার ৩০০ জন, স্যার এএফ রহমান হল- ১ হাজার ৩৮০ জন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল- ১ হাজার ৪০৭ জন, সূর্যসেন হল- ১ হাজার ৪৯৫ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল- ১ হাজার ৬০৯ জন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল- ১ হাজার ৭৫৩ জন, ফজলুল হক মুসলিম হল- ১ হাজার ৭৭২ জন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল- ১ হাজার ৯৬৩ জন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল- ২ হাজার ০০৫ জন, বিজয় একাত্তর হল- ২ হাজার ০৪৩ জন, জগন্নাথ হল-২ হাজার ২২৫ জন, রোকেয়া হল- ৫ হাজার ৬৬৫ জন, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল- ২ হাজার ১১০ জন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল- ২ হাজার ৬৪৫ জন, শামসুন নাহার হল- ৪ হাজার ৯৬ জন ও কবি সুফিয়া কামাল হল- ৪ হাজার ৪৪৩ জন। ভোটকেন্দ্রসমূহ : ডাকসু নির্বাচনে ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন ভোটার আটটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দেবেন। যেখানে ৮১০টি বুথ থাকবে। কেন্দ্রগুলো হলো- ১. কার্জন হল : ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক মুসলিম হল। ২. শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র : জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হল। ৩. ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) : রোকেয়া হল। ৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্র : বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল। ৫. সিনেট ভবন কেন্দ্র : স্যার এএফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হল। ৬. উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র : সূর্যসেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কবি জসীম উদদীন হল। ৭. ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ ্র: কবি সুফিয়া কামাল হল। ৮. ইউ ল্যাব স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র : শামসুন নাহার হল। কোন কেন্দ্রে কত ভোট : কার্জন হল কেন্দ্র- ৫ হাজার ৭৭টি, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র- ৪ হাজার ৮৫৩টি, ছাত্র-শিক্ষক (টিএসসি) কেন্দ্র- ৫ হাজার ৬৬৫টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্র- ৪ হাজার ৭৫৫টি, সিনেট ভবন কেন্দ্র- ৪ হাজার ৮৩০, উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র- ৬ হাজার ১৫৫, ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্র- ৪ হাজার ৪৪৩, ইউ ল্যাব স্কুল অ্যান্ড কলেজ- ৪ হাজার ৯৬টি। নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান : গতকাল বিকালে ভিডিওবার্তায় ডাকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসতে বলেছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচন তোমরা চেয়েছ। গভীরভাবে প্রত্যাশা করেছ। গণ-অভ্যুত্থানের মৌলিক মূল্যবোধগুলোর সঙ্গে এটি সঙ্গতিপূর্ণও। গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য সমন্বিত একটি প্রাতিষ্ঠানিক ভয়েস তৈরি করা। এসব গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধকে আমরা তুলে ধরার জন্য তোমাদের আগ্রহে এবং ব্যাপক চাহিদার ভিত্তিতে ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করেছি। তোমরা নির্ভয়ে ভোট দিতে আসবা, আমরা তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছি। উপাচার্য বলেন, ভোটকেন্দ্রে আমাদের নারীশিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া আছে। তারা নির্ভয়ে এসে ভোট দিতে পারবে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার, বন্ধ মেট্রোরেল স্টেশন : নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে প্রবেশের ক্ষেত্রে আইডি কার্ড চেক করা হচ্ছে। এর আগে জনসংযোগ দপ্তরের এক নোটিশে জানানো হয়, ৩৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ক্যাম্পাসের প্রবেশ পথগুলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে বৈধ শিক্ষার্থী ব্যতীত অন্য কেউ অবস্থান করতে পারবে না। নির্বাচন উপলক্ষে ৮ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টা থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পূর্ণ দিবস মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন বন্ধ থাকবে। এ ছাড়াও সুষ্ঠু নির্বাচন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা থেকে কাল ১০ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলের পকেট গেট বন্ধ থাকবে।