কুমিল্লার বুড়িচংয়ে মসজিদের ভেতরে নামাজরত অবস্থায় মোবাইল ব্যবসায়ী সায়মন রেজার ওপর ছুরিকাঘাতের ঘটনার মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। (৬ আগস্ট ২০২৫) বুধবার রাত ১টার দিকে তালাশ বাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোহাম্মদ আজিজুল হক। ওসি জানায়,মসজিদের ভেতরে নামাজরত অবস্থায় সায়মন রেজাকে ছুরিকাঘাত করে আত্মগোপনে চলে যায় হামলাকারী মো. সুমন। তাকে আজ রাত ১২টার দিকে ঢাকা মীরপুর ভাষানটেক থানা পুলিশের সহযোগীতায় ও বুড়িচং থানা পুলিশ মামলার আসামি সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে। জানা যায়,মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের শংকুচাইল বাজারে স্থানীয় ব্যবসায়ী,ছবিপাড়ার একতা কল্যাণ সামাজিক সংগঠন ইউনাইটেড ইউথ এবং সাধারণ মানুষের উদ্যোগে সায়মন টেলিকম এর স্বত্বাধিকারী সায়মন রেজাকে হত্যার চেষ্টার হামলাকারী সুমনকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কুমিল্লা-বাগড়া সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বাজারের ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ ৮ শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। উক্ত মানববন্ধনের ৭ঘন্টার মধ্যে পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করেন।
উল্লেখ্য,গত শনিবার শংকুচাইল উচ্চ বিদ্যালয় মসজিদে এশার নামাজের সময় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন শংকুচাইল বাজারের সায়মন টেলিকমের মালিক মো. সায়মন রেজা (২৮)। এতে তার কিডনি ছিদ্র হয়ে বিকল হয়ে যায়। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামের পার্ক ভিউ হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
আহত সায়মন শংকুচাইল দক্ষিণপাড়ার সাবেক সেনাসদস্য আলী হায়দারের ছেলে।অভিযুক্ত হামলাকারী সুমন শংকুচাইল কালিমুদ্দিন বাড়ির ছাত্তারের ছেলে। দোকানের বাকির টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করেই এ নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।স্থানীয়রা দাবি করেন, সুমন মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। বুড়িচং থানার ওসি আজিজুল হক তালাশ বাংলাকে জানান,মসজিদের ভেতরে ব্যবসায়ী সায়মনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় সুমন। হত্যার চেষ্টা মামলার আসামি সুমনকে আজ রাতে ঢাকা মীরপুর ভাষানটেক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।