‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতির মতোই কায়দা করে আমার ক্রয়কৃত জমি দীর্ঘদিন ধরে দখলের চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষরা। এখন তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির মানুষ, যে কোনো মুহূর্তে আমাকে মেরে ফেলতে পারে। আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই, ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই- এমন কথাগুলো অভিযোগ করে বলছিলেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের স্ত্রী ও এলাকার পরিচিত রত্নগর্ভা মা মোসাম্মৎ ফুল বানু। শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে
ভুক্তভোগী ফুল বানু সাংবাদিকদের জানান, জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের সঙ্গে প্রতিবেশী আওয়ামী লীগ নেতা মো. সিরাজুল ইসলাম ও তার অনুসারীদের বিরোধ চলছে। প্রতিপক্ষ আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বামীর মালিকানাধীন জায়গায় লাঠি-সোটা, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অনধিকার প্রবেশ করে প্রতিপক্ষরা। তারা সীমানা প্রাচীরের সিমেন্টের পিলার ও বাঁশের বেড়া ভেঙে জায়গা দখলের চেষ্টা করে। এসময় ফুল বানু ও তার স্বামী নজরুল ইসলাম বাধা দিলে তাদের ওপর হামলার চেষ্টা হয়। আত্মরক্ষায় ফুল বানু চিৎকার করলে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। উপস্থিত লোকজনের সামনেই ফুল বানুকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। ঘটনার পর মোসাম্মৎ ফুল বানু প্রতিপক্ষ সিরাজুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের নামে বুড়িচং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন কালিকাপুর দক্ষিণপাড়ার মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. হারুনুর রশিদ, মো. বাবুল মিয়া, মো. মোখলেছুর রহমান, মো. রাসেল, নান্টু মিয়া, জঙ্গলবাড়ির মো. ইব্রাহিম হোসেন, মো. ইমান হোসেন, মো. ফারুক আহম্মেদ, মো. মিজান, মো. সোহেল, অমিত হাসান, মো. বাবুল মিয়া, গাজীপুর এলাকার মনির হোসেন, মো. শরীফ, মো. জামসেদ, মো. কাজী বাশার, মো. মাসুদ, মো. সুমন ও জঙ্গলবাড়ির মো. হুমায়ুন। ভুক্তভোগী দম্পতি প্রশাসনের কাছে জীবনের নিরাপত্তা এবং অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আমি ১৪ বছর ধরে আ’লীগের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ছিলাম। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীনও তাদের সঙ্গে কোনো প্রভাব খাটাইনি। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।” অভিযোগের পর বুড়িচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাকিব বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।