Spread the love

কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে নির্মাণ সামগ্রী (ইট, বালু, রড) রেখে ব্যবসা পরিচালনার ফলে সাধারণ মানুষ এবং যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়—কুমিল্লা-বুড়িচং-মীরপুর সড়কসহ উপজেলার বহু সড়কের পাশে নির্মাণ সামগ্রী পড়ে রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সড়কের উপরেই ঢালাই মেশিন স্থাপন করে কাজ করা হচ্ছে, যা যানজটে পরিণত হচ্ছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থী, কর্মজীবী ও সাধারণ যাত্রীরা দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে পড়ছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি আইনকে তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন এ ধরনের কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে রাস্তা ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে এবং সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। বুড়িচং সদরের বাসিন্দা দ মো. আমিনুল হক সেলিম ভুঁইয়া বলেন,“প্রতিদিন কুমিল্লা-মীরপুর সড়কে চলাচল করি। সড়কের পাশে নির্মাণ সামগ্রী রাখার কারণে ও লোড-আনলোডের সময় সৃষ্ট যানজটে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।” ব্রাহ্মণপাড়ার মোশারফ হোসেন খান চৌধুরী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মোশারফ হোসেন খান চৌধুরী বলেন,“উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা যদি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, তাহলে জনগণের দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে। নির্মাণ সামগ্রী বিক্রয় কেন্দ্রগুলো অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে।” বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ড. অ্যাডভোকেট মোবারক হোসাইন বলেন,“স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং জনগণকেও সচেতন হতে হবে।” কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান কালের কণ্ঠকে বলেন, “নির্মাণ সামগ্রী যত্রতত্র রাখার ফলে পরিবেশ আইন ও মহাসড়ক আইন কার্যকরভাবে প্রয়োগ হচ্ছে না। এতে জনগণের চলাচলের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং পরিবহন ব্যবস্থাও ব্যাহত হচ্ছে। আইন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক আন্দোলন, নিয়মিত টহল এবং শাস্তির বাস্তবায়নই পারে এই সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটাতে।”তিনি আরও বলেন,“উপজেলা প্রশাসন এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও সচেতনতামূলক রেলির মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি জেলা পরিষদের সহায়তায় মহাসড়কের পাশে নির্ধারিত স্থানে নির্মাণ সামগ্রী রাখার জন্য শেড নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।” বুড়িচং প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী খোরশেদ আলম জানায়, সড়কের পাশে গৃহনির্মাণ সামগ্রী রাখার কারণে জনগণের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। এ সমস্যা নিরসনে প্রয়োজন স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা, সামাজিক সচেতনতা এবং নির্দিষ্ট নীতিমালার কার্যকর প্রয়োগ’। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা জাহান কালের কণ্ঠকে জানান,“সড়কের পাশে নির্মাণ সামগ্রী রাখার বিষয়ে আমরা ইতিপূর্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করেছি। ভবিষ্যতেও প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

By তালাশ বাংলা ডেস্ক

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *