বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, “বিএনপি এখন আর চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নয়। বর্তমানে দেশে যারা চাঁদাবাজি করছে, তারা সবাই সরকারদলীয় লোক। সাহস থাকলে তাদেরকে ধরুন।” বৃহস্পতিবার (১৫ মে ২০২৫) কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমিতে কুমিল্লা জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বিভাগীয় সদস্য ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “বিএনপি এখন ক্ষমতায় নেই, তাহলে চাঁদাবাজি করছে কারা? বর্তমান সরকারের লোকজনই এসব চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, বুকের সাহস থাকলে চাঁদাবাজদের ধরুন। কিন্তু আপনারা ধরতে পারবেন না, কারণ তারা আপনাদেরই লোক।” নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, “নির্বাচন আমাদের ন্যায্য পাওনা এবং জনগণের ভোটাধিকারই আমাদের অধিকার। দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। গত ১৭ বছর ধরে আমরা নির্বাচন আদায়ের জন্যই আন্দোলন করে যাচ্ছি।” সরকারের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। শুধু গত ৮ মাসেই ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে।” দলের অবস্থা নিয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, “অনেকে ভাবছেন বিএনপির সুদিন এসেছে। কিন্তু বাস্তবে এখনো আমরা ক্ষমতায় আসিনি। তারেক রহমান এখনো দেশে ফেরেননি। তাই উলটাপালটা চিন্তা করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা যাবে না।” তারেক রহমান প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, “তিনি অবশ্যই দেশে ফিরবেন। তবে নিরাপত্তা ও সময় বিবেচনা করেই সে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে, তাই তারেক রহমানকে সতর্ক থাকতে হবে। বিদেশে বসেও তিনি বিএনপিকে সুসংগঠিত করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “কিছু সুবিধাভোগী বিএনপির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও দখলবাজিতে জড়াচ্ছে, যার দায় এসে দলের ওপর পড়ছে। নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। এদের কোনো অবস্থাতেই বরদাস্ত করা যাবে না। এমনকি ছদ্মবেশী আওয়ামী লীগারদেরও বিএনপিতে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।” গণমাধ্যম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের আমলে যেমন মিডিয়ায় স্বাধীনতা ছিল না, বর্তমান সরকারের আমলেও মিডিয়া স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। তারা সারাক্ষণ সরকারের প্রশংসায় ব্যস্ত।” অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া।এছাড়াও বক্তব্য রাখেন:বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া,কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন,কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু,জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম,মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু অনুষ্ঠানটি ছিল প্রাণবন্ত এবং বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার একটি প্রয়াস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *