কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায়, সমবায় সমিতির অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত উপজেলা সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ সোসাইটি (ইউসিসি)’র চেয়ারম্যান পদে এখনও বহাল রয়েছেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে আক্তার হোসেন (ইউসিসি)’র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং তার মেয়াদ আগামী ২০২৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। তবে, তার এই পদে থাকা নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে।

আক্তার হোসেন, যিনি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন, বর্তমানে বহাল অবস্থায় ইউসিসি’র চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন, যা স্থানীয়দের মধ্যে এক ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে, আক্তার হোসেন ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন।

বর্তমানে, তিনি বিএনপি ও জামায়াতের একটি অংশের সমর্থনে ইউসিসি’র চেয়ারম্যান পদ ধরে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও, আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে ভূমি দস্যুতারও অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আক্তার দীর্ঘদিন ধরে জাল দলিল তৈরি করে জমি দখল করছে এবং তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। বিশেষ করে, আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে উপজেলা ভূমি অফিস, থানা এবং স্থানীয় জনগণের কাছে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তবে, তিনি কোনো বিচার ছাড়াই অবাধে চলাফেরা করছেন এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহায়তায় তার অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে আক্তার হোসেন বলেন, “আমি এখন রাজনীতিতে সক্রিয় নই। মেয়াদ শেষ হলে ইউসিসি’র চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দেব। আমাদের বাপ-দাদার বহু সম্পত্তি রয়েছে, আমি অন্যের সম্পত্তি দখল করি না।” ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিআরডিবির কর্মকর্তা মো. রাসেল সারোয়ার জানান, “৫ আগস্টের পর এখনো বিভিন্ন জায়গায় আগের চেয়ারম্যানরা বহাল আছেন। আইনি জটিলতার কারণে এ পদে কিছুই করা যাচ্ছে না। সরকারের নির্দেশনা পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।” এভাবে ইউসিসি’র চেয়ারম্যান পদে আক্তার হোসেনের অবস্থান জনমনে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে।এছাড়াও জাতীয় ও স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় তার সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।

By তালাশ বাংলা ডেস্ক

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *