দীর্ঘ চার মাস লন্ডনে চিকিৎসা শেষে আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশে আসছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে সরাসরি তাঁর গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় উঠবেন তিনি। খালেদা জিয়ার ফিরে আসাকে কেন্দ্র করে তাঁর এ বাসভবন ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।সোমবার রাত ৯টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, ফিরোজার প্রবেশপথ ৭৯ নম্বর রোডের মুখে ব্যারিকেড দেওয়া রয়েছে। তবে এ সড়কের বাসিন্দারা গাড়ি নিয়ে এবং হেঁটে সেখানে প্রবেশ করতে পারছেন। আরেকটু সামনে গিয়ে ফিরোজার প্রবেশমুখে পুলিশ ও বিএনপির চেয়ারপারসনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ‘চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)’ সদস্যদের পাহারায় থাকতে দেখা গেছে। সেখানে একটু পরপরই আসতে দেখা যাচ্ছে বিএনপির নেতা–কর্মীদের।বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘ম্যাডাম কাল দেশে ফিরছেন, সে জন্য তাঁর ব্যক্তিগত বাসভবন ফিরোজা সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, সেখানে সিএসএফ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। ম্যাডামের ফেরত আসা ঘিরে কোনো নিরাপত্তার সংকট নেই। একই সঙ্গে আমাদের নেতা–কর্মীদেরও সুশৃঙ্খল থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’খালেদা জিয়ার ফিরে আসা উপলক্ষে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে বিএনপির নেতা–কর্মীদের মধ্যে। ফিরোজার সামনে কথা বলেন খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. আবু নাসিম এবং সহ–অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দীনের সঙ্গে। খালেদা জিয়া ফিরে আসছেন বলে তাঁরা অনেক খুশি। সে কারণে এখানে এসেছেন বলে জানান তাঁরা।বিএনপি নেত্রীর দেশে ফেরা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢাকায় এসেছেন দলটির নেতা–কর্মীরা। কুমিল্লা (উত্তর) জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম ও ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম আজ বিকেলে ঢাকায় এসেছেন। আগামীকাল সকালে গুলশানে ২ এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে থাকবেন তাঁরা। কুমিল্লার যুবদলের এই দুই নেতা জানান, তাঁদের সঙ্গে কুমিল্লা জেলা যুবদলের শতাধিক নেতা–কর্মী এসেছেন। তাঁরা সবাই আগামীকাল গুলশান ২ এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে থাকবেন। তাঁরা সেখানে নেতা–কর্মীদের শৃঙ্খলায় রাখা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা করবেন।