বিজয় দিবসের ছুটিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্টের ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত তিল ধারণের ঠাঁই নেই। পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলের কোথাও কোনো খালি রুম নেই। ভিড়ের কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। বছর শেষ হতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। পরীক্ষা শেষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে ছুটি। পরিবার নিয়ে তাই অনেকেই বেড়াতে আসছেন কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে। সারা বছরই কক্সবাজারে কমবেশি পর্যটক আনাগোনা থাকলেও বিশেষ দিবস ঘিরে ভিড় বাড়ে কয়েকগুণ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নানাবয়সী মানুষ সাগরের সৈকতে এসে একঘেয়ে জীবনের ক্লান্তি কাটিয়ে খুঁজে নেন স্বস্তির পরশ। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, সমুদ্র নগরীতে ডিসেম্বর মাসে প্রতিদিনই লক্ষাধিক পর্যটক আসছেন। বছরের মাঝামাঝিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ব্যবসায় ভাটা পড়লেও এবার ক্ষতি পুষিয়ে উঠার আশা তাদের। ঢাকা থেকে আগত পর্যটক ইয়াছিন বলেন, ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসছি। সমুদ্র পাড়ে এসে খুব ভালো লাগছে। তবে হোটেলের রুম ভাড়া একটু বেশি। কক্সবাজারের হোটেল মালিক আব্দুর রহমান বলেন, ‘ডিসেম্বরের প্রতিদিন আশা করি এক থেকে দুই লাখ এবং বিশেষ বিশেষ দিনে তিন থেকে চার লাখ পর্যটক কক্সবাজারে আসবে বলে মনে করি। আমরা যে এতদিন ক্ষতির সম্মুখীন ছিলাম সেটা পূরণ করে আমরা লাভের মুখ দেখব বলে মনে করি। পর্যটন শিল্প ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটবে বলে মনে করি।’ অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে সৈকতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। লাইফগার্ড কর্মী মোহাম্মদ ভুট্টো বলেন, ‘সার্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থায় থাকি আমরা। আমাদের লাইফগার্ড ও ওয়াচটাওয়ার থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখি। আমাদের টহল টিম সবসময় টহলে থাকে। পানিতে কোনো সমস্যা হলে উদ্ধারকর্মী নিয়ে সেখানে দ্রুত চলে যাই।’ কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলগুলোর সত্তর থেকে ৮০ ভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকদের সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন।

By তালাশ বাংলা ডেস্ক

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *