{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃ্ষ্ট আকস্মিক বন্যায় শেরপুর ও ময়মনসিংহে ১৬৩ গ্রাম তলিয়ে গিয়েছে। ফসলি জমিসহ ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবারের মানুষ। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত ৯টা থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর রাতভর বৃষ্টিতে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর পানি বেড়ে উপজেলার সদর বাজার ও উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ চারটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভেঙে এবং নদীর পানি বিপদ সীমার উপড়ে উঠে লোকালয়ে পানি আসা শুরু হলে পানি বন্দী হয়ে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীতেও পানি বেড়েছে। ডুবে গেছে নালিতাবাড়ী পৌরসভাসহ তিনটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। ভোগাই নদীর দুই পাড়ের কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায়। উপজেলা পরিষদ কার্যালয়, কৃষি অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ও বাড়িঘরে ঢুকে পড়ে পানি। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। শেরপুরের নালিতাবাড়িতে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া উপজেলার অভয়নগর ও নামাবাতকুচি এলাকা থেকে তিন ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চারটি স্থান ভেঙে শুক্রবার ভোর থেকে লোকালয়ে পানি আসা শুরু হলে পানিবন্দি হয়ে পড়েন কয়েক হাজার মানুষ। ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেতাই নদের বাঁধ ভেঙে উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এলাকাগুলো বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় মুঠোফোনের নেটওয়ার্কও নেই। উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর বলেন, দিনভর টানা বৃষ্টি চলছে। গতকাল বিকেল থেকে নেতাই নদের বাঁধ ভাঙতে শুরু করে। কালিকাবাড়ি, পঞ্চনন্দপুর, সেহাগীপাড়া, মন্দিরঘোনাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বাঁধ ভেঙে গেছে। পাহাড়ি ঢলে অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

By তালাশ বাংলা ডেস্ক

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *