কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার চড়ানল গ্রামের মুহুরী বাড়ির শামসুদ্দোহার স্ত্রী বৃদ্ধা আয়শা আক্তারকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যার খুনি তৌহিদুল ইসলাম তন্ময়য়ের বিচার ও ফাঁসি দাবিতে প্রতিবাদ সভা করেন এলাকাবাসী। ( প্রহেলা জুন ২০২৪) শনিবার বিকেলে চড়ানল মক্তব্যের মাঠে এলাকার সাহেব সর্দার ও মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে প্রতিবাদ সভা করা হয় এবং পরে সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। উক্ত প্রতিবাদ সভার সভাপতিত্ব করেন আব্দুল অদুদ মেম্বার ও সঞ্চালনা করেন বুড়িচং উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান যুবলীগের নেতা সমাজ সেবক সালাহউদ্দিন টিপু।এসময় বক্তব্য রাখেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু জাহের,মুক্তিযোদ্ধা জলিল,সেনাসদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান রুমেল খান,ইউনুছ মিয়া,গফুর,ফুল মিয়া,আব্দুল বারেক,আবুল হাসেম সর্দার,রফিকুল ইসলাম,হাজী মফিজুল ইসলাম,আল আমিন মুহুরী,সাজ্জাদ হোসেন মাষ্টার,আবু জাহেদ মেম্বার,সাইফুল ইসলাম,ইউনুছ মুহুরী, সামীম,রফিক মিয়া।প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন,ইকরাম, জসিম,তাজউদ্দিন,মোবারক,সাখাওয়াত, তাজুল ইসলাম,মনির ইয়াছিন,মালেক,নাছির রোকমান,ফজলু মিয়া,মহসিন,আনিছ,হৃদয়,শাহআলম, মালেক,সুমন, রিমন,কাউছার,আলাল,অহিদ মিয়া,মানিক, হারুন,আর্মি তাজুল ইসলাম,বাবুল নাহিদ, হিমেল,জিয়াউল হক,ছিদ্দিকুর রহমান সহ এলাকার কয়েকশত মানুষ। উল্লেখ্য গত (১৩ মে ২০২৪) সোমবার মাগরিবের নামাজের পর চড়ানল গ্রামের মুহুরী বাড়ির অবসরপ্রাপ্ত কারারক্ষী পুলিশ কর্মকর্তা শামসুদ দোহার স্ত্রী আয়াশা আক্তার (৫৮)কে ঘরে ডেকে চায়ের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে প্রান করিয়ে দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। হত্যার স্বামী বাদী হয়ে একই পাড়ার আবুল বাশারের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম তন্ময়কে প্রধান আসামি করে বুড়িচং থানায় একটি হত্যার মামলা করেন।বুড়িচং থানা পুলিশ তন্ময় ও হানজালা সহ তিনজনকে আটক করে ছিলেন।আয়শা আক্তারকে হত্যা বিষয়টি তন্ময় তার নিজ দায় স্বীকার করায় আটকৃত অন্যান্যকে ছেড়ে দেয়।ওই দিন প্রতিবাদ সভার বক্তারা বলেন,হত্যাকারীরা কিশোর গ্যাং তৈরি করে এলাকায় মাদক,নারী,বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছিল, এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধা আয়শা আক্তারকে খুন করা হয়। তাই অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসি দাবী জানান।
