Spread the love

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে এক নারীকে মারধর, শ্লীলতাহানী ও স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরের সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বুড়িচং উপজেলার ৭নং মোকাম ইউনিয়নের নিমসার (মাঝি বাড়ী) গ্রামের বাসিন্দা মোসাঃ নাজমা আক্তার (৩৪) তার চাচা নুরুল ইসলাম (৫৫) ও তার ছেলে রাসেল (২৫)সহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে নাজমা আক্তার উল্লেখ করেন, বিবাদীদের সঙ্গে তার পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। তার দাদার ৩৪৯ শতক ভুমি থাকার পরও ওই সম্পত্তি থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এই বিরোধের জের ধরে বিবাদীরা তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়মিতভাবে খুন-জখমের হুমকি দিয়ে আসছিল। গত ৯ নভেম্বর দুপুর ১টার দিকে তিনি প্রয়োজনে ৭নং মোকাম ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার পথে পরিষদের সামনে পৌঁছালে বিবাদীদ্বয় পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার গতিরোধ করে। একপর্যায়ে তারা এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে আহত করে। অভিযোগে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা তার পরিহিত কাপড় টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। ভুক্তভোগী আরও জানান, তার সঙ্গে থাকা ব্যাগে থাকা নগদ এক লক্ষ টাকা ও ব্যাগটি ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং গলায় থাকা ১০ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, “আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ এসে আমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।” এ বিষয়ে বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম বলেন, “আমার ভাতিজিকে হারাহারি মধ্যে সম্পত্তি দিতে আমি প্রস্তুত। কিন্তু সে আমার কথা না শুনে লোকজন নিয়ে আমাকে অপমান করেছে। যার কারণে আমি শুধু একটি থাপ্পড় দিয়েছি। এলাকাবাসীর মীমাংসা বৈঠক যে সিদ্ধান্ত হবে, আমি তা মেনে নেব।”

By তালাশ বাংলা ডেস্ক

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *