আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে অংশ নিতে বাংলাদেশ লেবার পার্টি তাদের প্রথম দফার ৭৫ জন সংসদ সদস্য প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে। ৩১ অক্টোবর (শুক্রবার) সকাল ১১টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনের হোটেল গ্র্যান্ড তাজ-এ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ঘোষিত তালিকায় কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং–ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে কাজী খোরশেদ আলম মনোনীত হয়েছেন। ২০০৮ সালে ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ফরিদ উদ্দিনের হাত ধরে রাজনীতিতে যোগ দেন কাজী খোরশেদ আলম। তিনি বিগত সময়ের বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং মিথ্যা মামলাসহ নানা হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ লেবার পার্টির বুড়িচং উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে সংগঠনের মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ফরিদ উদ্দিনের সুপারিশে ও সাংগঠনিক দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ কুমিল্লা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন কাজী খোরশেদ আলম, আর সভাপতি নির্বাচিত হন অধ্যাপক মোঃ আমির হোসেন। এরপর থেকে কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ফরিদ উদ্দিন এবং জেলা সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আমির হোসেন-এর নেতৃত্বে তিনি কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পার্টির কার্যক্রমকে গতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। দলের কঠিন সময়ে—যখন নেতা-কর্মীরা ধরপাকড় ও নির্যাতনের মুখে এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন, তখনও কাজী খোরশেদ আলম সংগঠনের হাল দৃঢ়ভাবে ধরে রাখেন। জেলা সভাপতি অধ্যাপক আমির হোসেনের মৃত্যু ও মহাসচিবের প্রবাস যাত্রার পরেও তিনি পার্টির কর্মকাণ্ড সচল রাখেন।এছাড়াও তিনি বর্তমানে বুড়িচং প্রেস ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। দলের এই ক্লান্তিলগ্নে পরীক্ষিত নেতা হিসেবে তাকে কুমিল্লা-৫(বুড়িচং–ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেন পার্টির চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কাজী খোরশেদ আলম বলেন,
“দলের চেয়ারম্যান আমাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী আমি কাজ করে যাবো। যদি আল্লাহ তায়ালা আমাকে বিজয় দান করেন, তাহলে বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়াকে একটি মডেল এলাকায় পরিণত করবো। মাদক নিয়ন্ত্রণে দুই উপজেলায় দুটি সরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্র স্থাপন করবো, প্রবাসীদের সুবিধার্থে কুমিল্লা বিমানবন্দর পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেবো এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটাতে নিরলসভাবে কাজ করবো—ইনশাআল্লাহ।”
