ভাড়া বাসা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী সুমাইয়া ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সমনে বিক্ষোভ করেছেন কুবি শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করছেন। বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন এর আগে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে নগরীর ৩নং ওয়ার্ডের কালিয়াজুরী পিটিআই মাঠ সংলগ্ন নেলী কটেজ ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সুমাইয়া আরফিন (২৩) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি কুমিল্লা নগরীর সুজানগর এলাকার বাসিন্দা ও কুমিল্লা আদালতের সাবেক হিসাবরক্ষক মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে। একইসঙ্গে তার মা তাহমিনা বেগমেরও (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুই জনের শরীরে প্রাথমিকভাবে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের ধারণা শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে।এর আগে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে নগরীর ৩নং ওয়ার্ডের কালিয়াজুরী পিটিআই মাঠ সংলগ্ন নেলী কটেজ ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সুমাইয়া আরফিন (২৩) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি কুমিল্লা নগরীর সুজানগর এলাকার বাসিন্দা ও কুমিল্লা আদালতের সাবেক হিসাবরক্ষক মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে। একইসঙ্গে তার মা তাহমিনা বেগমেরও (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুই জনের শরীরে প্রাথমিকভাবে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের ধারণা শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে।বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে নিজ বাসায় হত্যার খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাৎক্ষণিক শিক্ষার্থীরা নগরীর পূবালী চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরই অংশ হিসেবে দুপুর সাড়ে ১২টায় কান্দিরপাড় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পূবালী চত্বরে মানববন্ধনে জড়ো হন।মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও তার মাকে নিজ বাসায় খুন করা হলো। প্রশাসন কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না। বর্তমান প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। অনতিবিলম্বে সুমাইয়া ও তার মায়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। অন্যথায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। পরে দুপুর দেড়টার দিকে মানববন্ধন শেষে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, ৯৯৯-এ খবর পেয়ে রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে নেলী কটেজের দোতলায় দুটি কক্ষে খাটের ওপর মা ও মেয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বলা যাবে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।কুমিল্লা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, খবর পেয়ে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডে যে বা যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করা হবে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উপাচার্য প্রফেসর ড. হায়দার আলীর সঙ্গেও কথা হয়েছে।