কুমিল্লার লালমাইয়ে দাফনের ২৫ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে সাকিব চৌধুরী (৩০) নামের এক প্রবাসীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রী খীসার উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ উত্তোলন করে লালমাই থানা পুলিশ। প্রবাসী সাকিব উপজেলার ভুলইন দক্ষিণ ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামের সোহেল চৌধুরীর ছোট ছেলে। পুলিশ ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সৌদিপ্রবাসী সাকিব চৌধুরী গত ২৯ মে লাকসাম উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের নৈরপাড় এলাকার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের মেয়ে আয়েশা আক্তারকে (২৪) পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন।তবে বিয়ের কয়েক দিন পরেই অজ্ঞাতব্যক্তির সঙ্গে মুঠোফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার অভিযোগ আছে নববধূর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে অবিশ্বাস ও অশান্তি শুরু হয়। এরই মধ্যে গত ৩ জুলাই রাত ৪টায় নববধূ আয়েশার চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে দেখেন সাকিবের গলায় ওড়না পেঁচানো। পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ মনে করে সাকিবকে কুমিল্লা মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আনুমানিক এক ঘণ্টা আগেই তার মৃত্যু হয়ে বলে জানান।মৃতের প্রতিবেশী হুমায়ুন কবির মজুমদার বলেন, ‘একদিকে প্রশাসন সাকিবের লাশ উত্তোলন করছিল, অন্যদিকে আমরা এলাকাবাসী কবরস্থানের পাশে খুনি আয়েশার গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি। গ্রামের সব মানুষ সাকিবকে হত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছে।’মৃতের বাবা সোহেল চৌধুরী বলেন, ‘পুত্রবধূ নামের ডাইনি আয়েশা আমার ছেলের গোপনাঙ্গে আঘাত করে ও গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুন করেছে। এ ঘটনায় আমার করা মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে আজকে আমার ছেলের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ হলেই কিভাবে হত্যা করা হয়েছিল তা জানতে পারব।’ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও লালমাই থানার সেকেন্ড অফিসার (উপপরিদর্শক) আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ‘মৃতের পিতা সোহেল চৌধুরী কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলায় আদালতের নির্দেশে সাকিব চৌধুরীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে।’