কুমিল্লা শহরের এক বাসা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এবং তার মায়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভোরে নগরীর কালিয়াজুড়ি খেলার মাঠের পাশের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। মৃত দুজন হলেন কুমিল্লা আদালতের সাবেক কর্মকর্তা প্রয়াত নুরুল ইসলামের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার (৫০) এবং তার মেয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েল ছাত্রী সুমাইয়া আফরিন (২৪) । কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, “মরদেহগুলো উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ বা সময় এখনো জানা যায়নি। “সিসি ক্যামেরার ভিডিওসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।” বাড়ির মালিক আনিছুল ইসলাম রানা জানান, সাড়ে তিন বছর আগে ওই বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন নুরুল ইসলাম। গত বছর তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী তাহমিনা সন্তানদের নিয়ে সেখানে বসবাস করছিলেন। তাহমিনার তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে বড় ছেলে তাজুল ইসলাম ফয়সাল হাই কোর্টের আইনজীবী, তিনি ঢাকাতেই থাকেন। আর ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম আল আমিন কুমিল্লা ইপিজেডে চাকরি করেন। তিনি এমনিতে কুমিল্লায় থাকলেও রোববার ছিলেন ঢাকায়। রানা বলেন, “তারা বাড়িতে থাকলেও অন্য কারো সাথে তেমন কথাবার্তা বলতেন না। গতকাল রাতে দুই ছেলে ঢাকা থেকে বাসায় এসে ঘরের দরজা খোলা দেখে। তারা ভেবেছিল, তাদের মা ও বোন হয়ত ঘুমিয়ে আছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে জাগাতে গিয়ে দেখেন তারা নড়ছে না। পরে ৯৯৯ এ কল পেয়ে আজ ভোরবেলা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেলের মর্গে পাঠায়। বাড়ির মালিক রানা বলেন, “সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা গেছে একজন ব্যক্তি রোববার দিনের বেলায় ওই বাসায় আসা-যাওয়া করেছিল। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।