গাজীপুরের শ্রীপুরে ‘অস্ত্র উদ্ধারে’ করতে গিয়ে জনতার রোষানলে পড়ে র্যাবের একটি দল অবরুদ্ধ হয়। এ ঘটনার প্রায় তিন ঘণ্টা পর সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে ৫টার দিকে বরমী-শ্রীপুর আঞ্চলিক সড়কের পাশে একটি দোকানে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে শ্রীপুর থানা পুলিশ। সবশেষ রাত ৮টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। জানা যায়, স্থানীয় চাঁদাবাজ ও সন্ত্রসীর পক্ষ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এক অটোরিকশা ব্যবসায়ীর দোকানে অস্ত্র রেখে উদ্ধার অভিযানে যায় র্যাবের একটি দল। দোকানমালিক মোশারফকে (৩৫) টানা হেঁছড়া করে গাড়িতে তুলে নেয় তারা।পরে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে র্যাবের গাড়িসহ একটি মাইক্রোবাস আটকে রাখে স্থানীয় জনতা। একইসঙ্গে মোশারফকে র্যাবের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় উত্তজিত জনতা। র্যাব পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম লিটনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মোশারফের দোকানে অস্ত্র রেখে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আব্দুল বারিক। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক র্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা আরও জানান, বরমী গ্রামের মোশারফের সঙ্গে একই এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম লিটনের বিরোধ রয়েছে। গত শুক্রবার রাতে এলাকায় লিটন ছয় রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জনতা লিটনের বাড়ি অবরোধ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পর লিটন এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় লিটনের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানায় অবস্থান নেয় স্থানীয়রা। পরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মু. আব্দুল বারিকের আশ্বাসে তারা বাড়ি ফেরে।